বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

একটি দোলনার আত্মকথন (৪)

~বৈষয়িক~
শোন শোন বলি শোন
সকল সুধীজন
বোকা মানুষের জীবন
করি গো বর্ণন।
দোয়েল শালিক তারে
দেখে আফসোস করে
বিষয় সম্পদ লয়ে
যারা হায় হায় করে
সারাদিন ছুটোছুটি
নাই বিশ্রাম
অর্থ উপার্জন-ই
একমাত্র কাম।
মানুষ আমি অন্ধ হই
সৃষ্টি বুঝি নাই
মহাবিশ্ব কেন তৈরী
তাহা জানা নাই~

আমার ঠিক পাশেই রয়েছে একদল বুনোঝাড়। তাদের কালচে সবুজ ডালে পাতায় পাতায় ছিটে ছিটে সব বুনো ফল। আর তারও গভীরে আছে এ পাড়ার চড়ুইদের বিখ্যাত আস্তানা । কিচির-মিচির মিচির-কিচির গল্প আড্ডায় নির্ভেজাল আড়ি পাতা হয় আমার । শুনি তাদের সাংসারিক জল্পনা কল্পনা ।চড়ুইগুলো কেমন যেন মানুষের মত। সকাল সন্ধ্যে শুধু ছুটোছুটি। উড়ে বেড়ানো। কাঁদা থেকে তুলে আনা কেঁচো কতক্ষন ছানাদের ঠোঁটে পুরে দেবে শুধু সেই এক ভোগ-বিলাস।
কিছু ধান-শালিক কিছু দোয়েল মাঝে মাঝে উড়ে এসে বসে, আমার সবচাইতে কাছের জন, হলুদ ফুলেল গাছটায়। গৃহস্থের বাড়ীর দুঃখ সুখের কতই না গপ্পো ঠোঁটে করে নিয়ে আসে এই পাখিদের দল।গল্পগুলো অপ্রাসঙ্গিক হোক আর প্রাসঙ্গিক। দৈনন্দীন হোক। হোক আনুষ্ঠানিক। তারা সব বড্ড বেশীই সাংসারিক । সামাজিক কাঠামোর বিচার বিশ্লেষণের, জীবনের চাইতেও বড় রীতিনীতির বোকা বোকা সব গান। আর তা ভাঙ্গতেই  দোয়েল ধান-শালিকদের মানুষের প্রতি এত আহ্বান!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন