শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০

কখনো কি নিজের সঙ্গে প্রেম করেছো ? করেই দেখো।

এরপর হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে
নিজের সঙ্গে আমার দেখা ।

দুজনেই চমকে গেছি ।
আমি আবার ইচ্ছে হলেই
ছয় হচ্ছি ।
১২ হচ্ছি ।
কলজে ভরে ঘ্রাণ নিচ্ছি ।
রোদ তাপানো
দুপুর ছাদের ।



মাড় দেয়া মায়ের আঁচল
সুখ ছড়াচ্ছে ছাদের হাওয়ায় ।


আমি তখন কেউ-দেখেনি
এই আমেজে, তারের নিচে
মায়ের নেড়ে রাখা
মাড় ধোয়ানো মা-গন্ধে
ডুবে গিয়ে চোখ বন্ধে
মা-মা ঠাণ্ডা কুলফি
আবর্ততে মগ্ন আছি ।


একদিন ১২ বলে,
কেমন কেমন
একলা হবার দিন গুনছি।


আমার আমি অবাক হয়ে
চেয়েই রইলো আমার দিকে ।
চেয়েই আছে নিস্পলকে
চোখের কোলে স্নেহ মেখে ।


এই আমিটা কেমন আমি ?
কই ঠিক আমি তো নই।
আমার মতই।
আমি-আমি তবু
ঠিক এই আমি নই।


বরং কেমন শান্ত ধীর ।
কথা শুনছে ।
মন বুঝছে ।
জেনে বুঝে সব, মেনে নিচ্ছে।


গোধূলি বেলায় , বেলার বালির
তির-তির-তির ঢেউয়ের ভিতর
পা ডুবিয়ে যেমন আমি
ডুবে যাওয়া সূয্যি সাজি,
আবীর মাখা জলের কোলাজ
আকাশটাতেও মাখামাখি।


ঠিক তখনি আপন আপন গন্ধ নিয়ে
আমার-আমি আমায় তখন আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে ।
বুকে জড়িয়ে বলে চলে-
" এই এখুনি যা দেখছিস, সূয্যি মামা,
আবীরমাখা আকাশ আলোয়
কুসুম নরম বুকের কথা,
সব সত্যি ।
যা হচ্ছে সব সত্যি ।"



আবার কেমন এক নিমিষেই
ঝুপ করে রাত ।
তারার আলো
কত যে তারা!
ঝিকিমিকি অযুত নিযুত
নক্ষত্রদের বাড়ির নিচে ,
সাগর পাড়ে আগুন জ্বেলে
গান গাইছি।


সেই আগুন সেঁকা ধোঁয়া ধোঁয়া
কাঠকয়লার নেশা নেশা ঘোর গন্ধে;
চোখ বুজছি ।
গান গাইছি।
ছুটে গিয়ে নগ্ন পায়ে
নোনা ফেনায় নূপুর পরছি ।
ফুল গুঁজেছি কানের পাশে
আমার-আমি তাকিয়ে আছে -
অর্ধভেজা আমার শরীর
সব-গা-ভেজা আমার মনের
আনন্দটা দেখতে পেয়ে
দেখার জন্য
নিমগ্ন চোখে
হেলান দিয়ে পাথর থামে
বিমোহিতের নয়ন মেলে -
এমনি ঠায় উপস্থিতি !


বাতাস এসে বলে দিচ্ছে
আজ তোমারই
সময় তিথি
এই এমনটাই হবার ছিল ।
নিজের সঙ্গে দেখা হলে
বিশ্ব জগত এমন লাগে ।
হঠাৎ সবাই তোমার জন্য
তোমায় ঘিরে যজ্ঞ বাঁধে ।।