শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

তারা খসা

ফড়িঙেরা কখনও কখনও
জোনাকীর সাথে শলা করে,
তারাদের মিছিলে মন দেয়।
এক একটা তারা খসে পড়ে
জোনাক ফড়িঙেরে ;
আলোয় আলোয় চমকায়।
বলে দেয়-
“খসে যাওয়াটা ভান।
খসে যেতে যেতে
অর্বাচীন হওয়াটাই প্রদীপ সত্য।
এ-ই তো মোর ছেলেবেলার গান~
খসে যাই
ভেসে যাই
ঝাঁপ দিয়ে ছুটে যাই।
সাঁই সাঁই
যেতে যেতে -
বহুদূরে
বহুক্ষণ
কেবলই নিজেরে পাই ।”

৫টি মন্তব্য:

  1. ফড়িং আর জোনাকির জীবনের সাথে আপনার নিশ্চয়ই দেখা হয়? কে জানে সেসব ফড়িং জোনাকের আকাশে হয়ত আপনি তারা হয়ে জেগে থাকেন। নয়তো কী করে জানলেন ওদের এত কথা?

    উত্তরমুছুন
  2. হয় বৈকি। কোন কোন গ্রীষ্মরাতে জোনাকীর সাথে আমার কথা হয়। রাতের পর রাত। ভোরের পর ভোর। বহু তারা খসা দেখার অভিজ্ঞতাটা হয় ঠিক তখনই। আমার জোনাক পোকার দিব্যি। এই কবিতার প্রতিটি অক্ষর সত্য।
    এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ! 🙏

    উত্তরমুছুন
  3. এত ধন্যবাদ আপনি কোথায় চাষ করেন বলুন তো?! ধন্যবাদের আকালেও আপনার বাগানে এর কমতি নেই! তার চাইতে বরং একটা দুটো তারার হদিস আমাকেও দিয়ে দিয়েন.. যাদের প্রতিদিন এমনি দেখব, খসে গিয়ে যদি কোন ইচ্ছাপূরণ হয়ে যায় তবে তো কথাই নেই! 😊

    উত্তরমুছুন
  4. সপ্তর্ষি সত্যিই কি রহস্যে ভরা, তাইনা? সাত জনে যুক্তি করে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে আকাশে ঝুলছে। অদ্ভূৎ এক দার্শনিক ঠাট্টা !
    তৃষা, একদিন টেলিস্কোপে বসে সত্যিই ওদের দেখবো দুজন মিলে।

    উত্তরমুছুন
  5. বাহ্! এভাবে তো ভাবিনি, দার্শনিক ঠাট্টাই বটে!
    নিশ্চয়ই দেখব.. টেলিস্কোপ যন্ত্রটার প্রতি আমার অনেক আগ্রহ, কিন্তু কখনো সুযোগ হয়নি টেলিস্কোপ দিয়ে আকাশের তারা দেখার। সেই সুযোগটা যদি এমন একজনের সঙ্গে পেয়ে যাই তবে তো আর কথাই নেই! 🙏😁

    উত্তরমুছুন